কৃষি তথ্য সার্ভিস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। কৃষি তথ্য সার্ভিস বা এআইএস কৃষির উন্নয়নে কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করে থাকে। সংস্থাটি জন্মলগ্ন থেকে নিবিড়ভাবে গণমাধ্যমের সাহায্যে কৃষি গবেষণালব্ধ আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি সহজ সবালীলভাবে গ্রামীণ তৃণমুল পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছিয়ে দেয়ার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে কৃষি তথ্য সার্ভিস গণমাধ্যমে কৃষি বিষয়ক প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কৃষি তথ্য প্রচারভিত্তিক রাষ্ট্রীয় সকল দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের ভিশন হলো- ‘কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কার্যকর যোগাযোগ কৌশলের উন্নয়ন।’ এবং সংস্থার মিশনটি হলো-‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের সাহায্যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি।’ এটি ১৯৬১ সনে কৃষি তথ্য সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পররবর্তীতে সময়ের প্রয়োজনে ১৯৮৫ সনে কৃষি তথ্য সার্ভিসে পরিণত হয়। কৃষি তথ্য সার্ভিস সৃষ্টির শুরু থেকে ২৪৫ জন জনশক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৮৬ সনে কৃষি তথ্য সার্ভিস দ্বিধাবিভক্ত হয়ে এক তৃতীয়াংশ জনবল তদানন্তীন মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরিত হয়। বর্তমানে সদর দপ্তর ও আঞ্চলিক কার্যালয় সমন্বয়ে এ দপ্তরের মোট পদসংখ্যা ২২৩ টি। এর মধ্যে ১৯টি পদ ১৯৯৯-২০০৪ মেয়াদে বাস্তবায়িত ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী রাজব্ বাজেটে সৃষ্ট। ঢাকাস্থ সদর দপ্তরসহ সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা ও ময়মনসিংহ-এ ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ঠাকুরগাঁও ও কক্সবাজারে দুটি লিঁয়াজো অফিস এবং কুমিল্লা, বরিশাল ও রাঙ্গামাটিতে অস্থায়ী রাজস্ব বাজেটে সুষ্ট ৩টি আঞ্চলিক কার্যালয় সমন্বয়ে এ দপ্তরের মোট আঞ্চলিক কার্যালয় ১২টি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস